Monday, July 27, 2015

চাকমা জাতির ইতিহাস

সংক্ষিপ্ত; বাংলাদেশে একটি অন্যতম বড় উপজাতি গোষ্টী হইল চাকমা । তাহারা সংখ্যায়  পার্বত্য  চট্রগ্রামের উপজাতিয় জনগনের  অধ্যেকের বেশি । চাকমা জাতির উৎপত্তি  সম্পর্কে তাহারদের অভিমত হইল যে , তাহারা এক সময চম্পক নগরের বাসিন্দা ছিল । কেউ বলিয়াছেন , চম্পক নগর উত্তর পশ্চিম ভারতে কেউ বলিয়াছেন উত্তর-পূর্ব ভারতে ;আবার কেউ বলিয়াছেন হিমালয়ের পাদদেশে ;কেউ বলিয়াছেন চম্পক নগর মালয়শিয়াতে ; চাকমা কাহিনী তে ব্যাক্ত হইয়াছে যে চম্পক নগর হইতে এক চাকমা রাজপুত্র রাজ্য জয়ের উদ্দেশ্যে বার্মার আরাকানে মন করে এবং নবম শতক থেকে চতুর্দশক পর‌্যন্ত সেখানকার কিছু অন্চলে তাহারা শাসন করায় চালান । অতপর স্হণীয় আরাকান বাসিদের কতৃক বিতাহৃত হইয়া চট্রাগ্রামে ও  পার্বত্য  চট্রগ্রামে চাকমা রা স্হায়ীভাবে  বসবাস  আরম্ব করে । মগদের মতে চাকমারা মুঘুল দের বংসদর , এককালে মুঘল গন তাহাদের হাতে পরাজিত হইলে আরাকান রাজা তাহাদের বন্দি করে আরাকানি নারী দের সাথে বিবাহ দেন । এইসব মুঘল সৈন্যদের ঔরসে আরাকানী নারীদের গর্বে ধারন করিয়া যে জাতির উৎপত্তী হইয়াছিল ,তাহারেই পরবর্তিতে সেক বা সাক নামে পরিছিত হইয়াছেন । 

রাধামোহন ধনপতি উপাখ্যান  এবং চাটগা ছাড়া এই পুরা কাহিনী দুটিতে চাকমা জাতির আদি উৎস্য সম্পকে জানা যায় চাকমারা এক সময় চম্পক নগরে বাস করিত । এই চম্পক বা চম্পা থেকেই চাকমা জাতির নামকরন করা হইয়াছে বলিয়া অনেকে মনে করেন ।ত্রিপুরার ইতিবৃত্ত ’রাজনামায়  উক্ত কাহিনীদ্বয় সমনো্ধ অনেকের মতভেদ রইয়ছে । আবার চাকমা সমাজে প্রচলিত এক গানে চম্পা নগরে নয় নুর নগরের উল্লেখ রইয়াছে । এই নয় নুর ত্রিপুরায় ।অবস্হিত ,ত্রিপুরা জেলায়,, জেলায় গোমতি নদির উৎস্য সম্বন্ধে যে আখান প্রচলিত রইয়ছে তাহা চাকমা সমাজ এখনও পবিত্রঞ্জান বলিয়া মনে করে । পার্বত্য ত্রিপুরার সাথে চাকমাদের যোগসুত্র রইয়াছে প্রাচিনকাল থেকেই । এই নুর নগর্ চম্পক নগর কিনা তাহাও  পর‌্যাপ্ত গবেষনার অপেক্ষা রাখে ।

প্রবীন বয়স্ক শিক্ষিত চাকমারা তাহাদের চাকমা নাম টি প্রথম ব্যাবহার করেন । অন্য দিকে চাকমা সমাজের বৃহত্ত প্রবিন জনগোষ্টি চাঙমা নামেই নিজেদের পরিছয় দিয়া থাকেন । বর্তমানে শিক্ষিত যুবক চাকমারা   অনেকেই চাকমা শব্দটির বদৌলে চাঙমা নামটি ব্যবহার করিবার পক্ষেই অধিক আগ্রহী । তবে কেউ কেউ বলেন চাকমাগন চম্পক সর হইতে আগত লোক বলিযা তাহারা চাকমা বা চাঙমা নামটি গ্রহন করিয়াছেন ।বাংলাদেশের বর্তমানে রাঙ্গামাটি , খাগড়াছড়ি , বান্দরবন জুড়িয়া সমগ্র পার্বত্য চট্রগ্রামেয জেলায় চাকমারা বসবাস করিতেছে । ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ও ।অনেক সংখক চাকমা রইয়াছে । রাঙ্গামা িশহর কে কেন্দ্রও করিয়া প্রায় ২,৪২১বর্গ মাইল এলাকা জুড়িয়া চাকমা সারেবকল হিসাবে পরিচিত রইয়াছে । ইহর পরই খাগড়াছড়ির সিমানা । কর্নেল ফাহার  তাহার “ History of Burma` নামক গ্রন্হটিতে উরল্লখ করিয়াছেন যে চাকমারা একালে ব্রক্ষ্ম ।।অধিবাসি ছিল , পরি বক্ষ্ম দেশে হইতে বাংলাদেশে আসে । চাকমারা সবসময় পোহাড়ে ওঠানামা করিয়া থাকে বলিয়া ই তাহাদের স্বাস্হ এত ভাল হইয়া থাকে ।স্যার রিজলি এর মতে ১৮৮১)মতে চাকমাদের দেহে ৮৪.৫% ভাগ মেোলীয় বৈশিষ্ট বিদ্যমান । তাহাদের গায়ের রং সুন্দর এবং ফর্সা , মুখমন্ডল গোলাকার , ওষ্টাধর পাতলা । চোখের মসন ও চুলের রং কালো  চুল গুলি অনেকটা সোজা দেহ প্রায় কেশ হীন থাকে । দাড়ি গোফ কম, পুরুষদের উচ্চতা মাজারি ধরনের ড়ে ৫‘-৬‘ ওখানে মহিলারা গড়ে ৫‘-৪‘ ফুট প্রায় ।চাকমারা সাধারনত মাটি থেকে প্রায় ৬ পুট উচুতে মাচার উপর ঘর তৈরী করে । ঘরটিকে কয়েকটি কামারা ভাগ করে । ঘরে উঠার জন্য তাহারা মংগু ব্যাবহার করে প্রধানত কামরাটি ৪০‘x ২৫” ফুট এবং অন্যৗান্য কামরা গুলো ২৫-১৫ পর্যন্ত উচু হয় । এদের মধ্যে বিল্ডিং ও দালান কোঠা ও রইয়াছে । সাধারনত ছোট ছোট নদীর ধারে এদেনর গ্রাম গুলো গড়ে উঠে । অন্য দিকে ছোট ছোট পাহড়ের উপর তৈরী করা ঘর  দেখিতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে । চাকমাদের সাথে চীনা মঙ্গোলীদের অনেক মিল রইয়াছে । অপেক্ষাকৃত ভাবে  মঙ্গোলীদের নর গোষ্টী দের প্রভাব সমতল বাসির বাঙ্গালিদের তুলনায় তাহাদের উপর অনেক বেশি । দৈহিক গরনে তাহারা অনেক শেক্তি শালি ; উচ্চতায় প্রায় মাজারি আকারের হয়ে থাকে আবার অনেকে লম্বা০হয় । গায়ে লোমের স্বল্পতা, চ্যাপ্টা নাক এবং চোখ ক্ষুদ্র হিসাবে লক্ষ করা যাইতে পারে । চাকমা সমাজ বিভিন্ন গোষ্টিতে বিভক্ত ; প্রায় একশত পঞ্ছাশটি গোষ্টি নিয়া তাদের পুর্ন সমাজ গঠিত । গোষ্টি ভুক্ত প্রত্যেকটি লোক আত্মীয়  সম্পকের বন্ধনে আবদ্ব ।এসব গোষ্টি গুলো আবার বিভিন্ন গোজার অন্তভক্ত হওয়ায় এই ধরনের গোজা বিভক্ত  কেন্দ্র করিয়া চাকমা সমাজ আবদ্বিত । গোষ্টি গুলোর প্রধান কর্তব্য হল , তাহারা এক অপরকে পরস্পরে বিপদ আপতেদ সাহায্য করে । 

 চাকমা সমাজে মধ্যে বিধ্যমান ক্ষুদ্র সংগন হইল পরিবার ; তৎপরি  রইয়াছে গোতি্ত বা গোজা । উহা অপেক্ষ বৃহৎ আয়তনের সামাজিক একক হইল পাড়া বা আদাম । তাহারে চেয়ে অধিব আয়তনের হইল গ্রাম বা মোজার । মৌজার পরবর্তীতে বৃহত্তম চাকমা সমাজ বলি তে চাকমা সার্কেল বা চাকমা জাতির সংঠন কে বুজায় । চাকমারা গৃহ কে ঘর এবং গ্রাম কে আদম বলে আখ্যায়িত করে থাকে ।

চাকমাদের ভাষা সম্পুর্ন স্বতন্ত্র প্রকৃতির । বর্তমানে তাহারা একপট বাংলা উপভাষায় কথা বলে যিাহাকে বলা হয় চাকমা ভাষা । ভাষা তাত্বিক বিশ্রেষনে দেখা যায় , তাহারা পুর্বে টিবটো বার্মান ভাষার পরিভুকাত আরকানি ভাষায় কথা বলিত । চাবমাদের নিজস্ব যে বর্ন লিপি আছে উহাতে আরাকানী ভাষার প্রাধান্য বেশি । চাকমা বর্ন মালায় ব্রম্মলিপিরে অনুরুপ ; তদপুরি আঞ্চলিক ভাষার প্রভাবও  তাহাদের ভাষার মধ্যে  লক্ষ করা যায়।চাকমাদের কথা বার্তায় অনেক ফারসি হিন্দি আরবী ভাষার মিশ্রিন পাওয়া যায় । - See more at: http://www.pcnews24.com/details.php?id=16749#sthash.snbazPlS.dpuf

No comments:

Post a Comment